মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষকদের অনুদানের আবেদন: মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিশেষ মঞ্জুরির জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল করা হয়েছে।
সরকার দেশের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের বিশেষ অনুদান প্রদান করবে। এই আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ১৫ এপ্রিল।
এখন শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনলাইনে করতে হবে। কোনও হার্ডকপি আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সময়সীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অপারেটিং বাজেট থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণের সময়সীমা অনিবার্য কারণে ২৫/৪/২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পূর্বে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের পূর্ববর্তী প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল যে, দুরারোগ্য রোগ, প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা এবং চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিশেষ অনুদান দেওয়া হবে। অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, অসহায়, দুঃস্থ এবং মেধাবী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
অনুদান প্রাপ্তির শর্তাবলী
দেশের সরকারি/বেসরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সংযুক্ত/স্বতন্ত্র (অনুদানপ্রাপ্ত/অনুদানবিহীন) ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত/এমপিওভুক্ত সরকারি/বেসরকারি কারিগরি/মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র তৈরি, খেলার সরঞ্জাম ক্রয়, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং পাঠাগারের উন্নয়নের জন্য আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার অস্বচ্ছল কিন্তু ভালো মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে।
দেশের সকল সরকারি/বেসরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সংযুক্ত/স্বতন্ত্র (অনুদানপ্রাপ্ত/অনুদানবিহীন) ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত/এমপিওভুক্ত সরকারি/বেসরকারি কারিগরি/মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ এবং দুর্ঘটনার চিকিৎসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সরকারি/বেসরকারি কারিগরি/মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ, দুর্ঘটনা এবং শিক্ষার খরচ মেটানোর জন্য অনুদানের আবেদন করতে পারবে। তবে প্রতিবন্ধী, দরিদ্র, মেধাবী ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা এই বিশেষ মঞ্জুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
আগ্রহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মঞ্জুরি পাওয়ার জন্য আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে https://www.tmed.gov.bd গিয়ে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও শিক্ষক-কর্মচারী অনুদানের আবেদন ফরম’ বাটনে ক্লিক করে অনলাইনে আবেদন দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে আর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
আবেদনপত্রের সাথে সরকারি-বেসরকারি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী/শিক্ষার্থীদের অনুদানের নীতিমালায় (যা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে) উল্লেখিত কারণসহ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কমিটির সভাপতি এবং শিক্ষক-কর্মচারী/শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক প্রত্যায়িত প্রমাণপত্র অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে (প্রত্যয়নের নমুনা অনলাইনে দেওয়া আছে)।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এবং শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষক-কর্মচারীকে তাদের নিজস্ব মোবাইল নম্বর এবং শিক্ষার্থীদের তাদের পিতামাতা/অভিভাবকের মোবাইল নম্বর (আবেদনের পূর্বে নম্বরটি নগদ সিস্টেমে রেজিস্টার করতে হবে) দিতে হবে। আবেদনকারী শিক্ষক-কর্মচারীকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষার্থীদের অনলাইন জন্মসনদ ও পিতামাতা/অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যারা এই অনুদান পেয়েছেন, তারা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন না।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদানের আবেদন ফরম’ বাটনে ক্লিক করে অনলাইনে অনুদানের জন্য আবেদন করতে হবে।
Dhaka Alert একটি তথ্যভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি পাবেন বাংলাদেশের সর্বশেষ চাকরির খবর, ভর্তি তথ্য, শিক্ষা সংবাদ, স্কলারশিপ আপডেট এবং ক্যারিয়ার গাইডলাইন। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটি নির্ভরযোগ্য, আপ-টু-ডেট এবং সহায়ক মাধ্যম গড়ে তোলা, যা শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী এবং সাধারণ পাঠকের তথ্য চাহিদা পূরণ করবে।
