পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ যোগ্যতা: পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ যোগ্যতা, বয়স, উচ্চতা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বেতনের গ্রেড সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন।
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ যোগ্যতা
পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশ ও জনগণের সেবা করার যে স্বপ্ন আপনি দেখছেন, তা সত্যিই অনেক সম্মানের। একজন সহানুভূতিশীল ক্যারিয়ার পরামর্শক হিসেবে আমি জানি, এই স্বপ্ন পূরণের পথে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সঠিক তথ্য জানা। অনেকেই পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ যোগ্যতা সম্পর্কে অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য পেয়ে পিছিয়ে পড়েন। আপনার এই পথচলাকে সহজ করতেই আমার এই প্রচেষ্টা। এই গাইডে আমরা পুলিশ কনস্টেবল পদের জন্য প্রয়োজনীয় বয়স, উচ্চতা, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সকল খুঁটিনাটি বিষয় ধাপে ধাপে আলোচনা করব। মনে রাখবেন, সঠিক তথ্য ও যথাযথ প্রস্তুতিই আপনার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি এবং এটি আপনার আত্মবিশ্বাসকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
একনজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (Key Takeaways)
- বয়সসীমা: সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ১৮ থেকে ২০ বছর।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫।
- শারীরিক যোগ্যতা (পুরুষ): উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি।
- শারীরিক যোগ্যতা (মহিলা): উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।
- চাকরির গ্রেড: ১৭তম গ্রেড (বেতন স্কেল: ৯,০০০ – ২১,৮০০ টাকা)।
পুলিশ কনস্টেবল হতে শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা কী লাগে?
পুলিশ কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য আপনাকে কিছু মৌলিক যোগ্যতা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এগুলো কেবল আপনার জ্ঞান বা শারীরিক সক্ষমতাই যাচাই করে না, বরং একজন সুনাগরিক হিসেবে আপনার প্রাথমিক যোগ্যতারও মূল্যায়ন করে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা (ন্যূনতম জিপিএ)
আপনাকে অবশ্যই সরকার অনুমোদিত যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.৫ (পাঁচের মধ্যে) পেতে হবে। এর কম জিপিএ হলে আপনি আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। তাই আবেদন করার আগে আপনার সার্টিফিকেট যাচাই করে নিন।
জাতীয়তা ও বৈবাহিক অবস্থা
আবেদনকারীকে জন্মসূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব থাকলে আপনি আবেদন করতে পারবেন না। বৈবাহিক অবস্থার ক্ষেত্রে, প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। এই শর্ত পুরুষ ও মহিলা উভয় প্রার্থীর জন্য প্রযোজ্য এবং তালাকপ্রাপ্ত বা ডিভোর্সি গ্রহণযোগ্য নয়।
পুলিশ কনস্টেবল হতে কত বয়স লাগে?
Age Limit for Police Constable: বয়সসীমা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির একটি অত্যন্ত কঠোর শর্ত। একদিন কম বা বেশি হলেও আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা আবশ্যক।
সাধারণ প্রার্থীদের জন্য বয়সসীমা (১৮-২০ বছর)
সাধারণ এবং অন্যান্য সকল কোটার প্রার্থীদের জন্য বয়সসীমা ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়স গণনার জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা থাকে। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ওই তারিখে আপনার বয়স এই সীমার মধ্যেই রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে বয়সের নিয়ম
মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান) বয়সসীমা কিছুটা শিথিলযোগ্য। সাধারণত, এক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত থাকে। তবে, প্রতিটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিয়ম ভিন্ন হতে পারে। তাই আবেদন করার আগে সর্বশেষ সার্কুলারটি ভালোভাবে দেখে নেওয়া আপনার দায়িত্ব।
বয়স গণনার সঠিক পদ্ধতি
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে একটি নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করে দেওয়া হয়, যেমন “১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স”। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম সনদে উল্লেখিত জন্মতারিখ অনুযায়ী ওই নির্দিষ্ট তারিখে আপনার বয়স কত বছর, কত মাস এবং কত দিন, তা নির্ভুলভাবে হিসাব করতে হবে।
পুলিশ কনস্টেবল এর উচ্চতা কত লাগে?
Physical Requirements: পুলিশের চাকরি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা, যেখানে শারীরিক সক্ষমতা অপরিহার্য। কনস্টেবল পদের জন্য পুরুষ এবং মহিলা উভয় প্রার্থীদের জন্যই সুনির্দিষ্ট শারীরিক যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে।
পুরুষ প্রার্থীদের শারীরিক যোগ্যতা (উচ্চতা, বুকের মাপ)
- উচ্চতা: সাধারণ এবং অন্যান্য কোটার পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে।
- বুকের মাপ: স্বাভাবিক অবস্থায় বুকের মাপ কমপক্ষে ৩১ ইঞ্চি হতে হবে। শ্বাস নেওয়ার পর বা প্রসারিত অবস্থায় এটি কমপক্ষে ৩৩ ইঞ্চি হতে হবে। অর্থাৎ, প্রসারণের পার্থক্য ন্যূনতম ২ ইঞ্চি হওয়া বাধ্যতামূলক।
মহিলা প্রার্থীদের শারীরিক যোগ্যতা (উচ্চতা, ওজন)
- উচ্চতা: সকল কোটার মহিলা প্রার্থীদের জন্য ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে।
- ওজন: বিজ্ঞপ্তিতে সরাসরি ওজন উল্লেখ করা না থাকলেও, উচ্চতার সাথে ওজনের একটি আদর্শ সামঞ্জস্য থাকা প্রয়োজন। এটি সাধারণত BMI (Body Mass Index) চার্ট অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।

পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীদের যোগ্যতার তুলনামূলক চিত্র
শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞের টিপস
শারীরিক পরীক্ষা বা Physical Endurance Test (PET) নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি কঠিন ধাপ। একজন ফিটনেস বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমার কিছু পরামর্শ হলো:
- দৌড় (Running): আজ থেকেই অল্প দূরত্বে দৌড়ানোর অভ্যাস করুন। সময় ধরে দৌড়াবেন এবং ধীরে ধীরে সময় ও দূরত্ব দুটোই বাড়ানোর চেষ্টা করুন। স্ট্যামিনা বা দম বাড়ানোই এখানে মূল লক্ষ্য।
- অন্যান্য ব্যায়াম: নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত লং জাম্প, পুশ-আপ, রোপ ক্লাইম্বিং ইত্যাদি থাকে। পায়ের শক্তি বাড়াতে স্কোয়াট ও লাঞ্জেস করুন। শরীরের উপরের অংশের শক্তি বাড়াতে নিয়মিত পুশ-আপ অনুশীলন করুন।
- সঠিক খাদ্যাভ্যাস: পরীক্ষার আগে ও প্রস্তুতির সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। তৈলাক্ত বা ভারী খাবার পরিহার করুন যা আপনাকে মাঠে অলস করে তুলতে পারে।
পুলিশ কনস্টেবল কত গ্রেডের চাকরি এবং বেতন কেমন?
যেকোনো চাকরিতে যোগদানের আগে তার গ্রেড এবং আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। এটি আপনাকে আপনার ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে।
পদের গ্রেড (১৭তম গ্রেড)
বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদটি জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৭তম গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত। এটি একটি এন্ট্রি-লেভেলের পদ হলেও এখান থেকে আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে পদোন্নতির মাধ্যমে উপরের পদে যাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
বেতন স্কেল (৯,০০০-২১,৮০০ টাকা) ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
১৭তম গ্রেডের মূল বেতন স্কেল হলো ৯,০০০ টাকা থেকে ২১,৮০০ টাকা। চাকরিতে যোগদানের পর আপনার মূল বেতন হবে ৯,০০০ টাকা। এর সাথে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আপনি অন্যান্য ভাতাও পাবেন, যেমন- বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা ইত্যাদি। এছাড়া রেশন ও পোশাকের মতো গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা পেয়ে থাকেন।
ডেটা স্ন্যাপশট: গ্রেড ও বেতন কাঠামো
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করতে কোন কোন কাগজপত্র লাগবে?
নিয়োগ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপগুলোর একটি হলো পুলিশ ভেরিফিকেশন। এই ধাপে আপনারประวัติ যাচাই করা হয় এবং এর জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতে পারে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কী এবং কেন প্রয়োজন?
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হলো একটি অফিসিয়াল নথি যা প্রমাণ করে যে আপনার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। পুলিশের মতো একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে যোগদানের জন্য আপনার চারিত্রিক স্বচ্ছতা প্রমাণ করা অপরিহার্য।
চেকলিস্ট: প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইন আবেদন করার সময় এবং পরবর্তী ভেরিফিকেশনের জন্য কিছু কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হয়। নিচে একটি চেকলিস্ট দেওয়া হলো:
- [ ] অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট করা কপি
- [ ] পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (যদি থাকে)
- [ ] জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা জন্ম সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
- [ ] ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার মূল কপি
- [ ] আপনার বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ
আমার এক ছোট ভাই ছাত্র, নাম ছিল তার রিফাত। সে গত বছর পুলিশ কনস্টেবল পদে আবেদন করেছিল। সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু তাড়াহুড়ো করে ভুল ঠিকানার কাউন্সিলর সার্টিফিকেট জমা দেওয়ায় তার ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় বেশ জটিলতা তৈরি হয়। পরে সে এই চেকলিস্ট অনুসরণ করে সব কাগজপত্র নতুন করে গুছিয়ে জমা দেয় এবং সফলভাবে নিয়োগ পায়। রিফাতের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিখতে পারি যে, ছোট ছোট প্রস্তুতিও বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তাই প্রতিটি কাগজ যত্ন সহকারে প্রস্তুত করুন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
আবেদন ফি কত?
সাধারণত পুলিশ কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য নির্ধারিত ফি ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে, যা ট্রেজারি চালান বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। তবে ফি এর সঠিক পরিমাণ জানতে সর্বশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি অবশ্যই দেখে নিতে হবে।
অবিবাহিত হওয়া কি বাধ্যতামূলক?
হ্যাঁ, পুলিশ কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় এই বিষয়টি কঠোরভাবে যাচাই করা হয় এবং তথ্যে গরমিল পেলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
শারীরিক পরীক্ষায় কী কী ইভেন্ট থাকে?
শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় সাধারণত কয়েকটি ধাপ থাকে। এর মধ্যে ৭টি ইভেন্ট থাকার সম্ভাবনা বেশি। যেমন: ২০০ মিটারের দৌড়, ১৬০০ মিটারের দৌড়, লং জাম্প, হাই জাম্প, পুশ-আপ, রোপ ক্লাইম্বিং এবং ড্র্যাগিং। প্রতিটি ইভেন্টে সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে হয়।
বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করা কেবল একটি স্থিতিশীল চাকরি নয়, এটি দেশের প্রতি আপনার ভালোবাসা এবং মানুষের সেবা করার একটি মহান সুযোগ। এই সম্মানজনক পেশায় সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ যোগ্যতা সম্পর্কিত প্রতিটি তথ্য সঠিকভাবে জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। আশা করি, এই বিস্তারিত গাইডটি আপনার প্রস্তুতির পথকে আরও মসৃণ ও সহজ করবে। আপনার শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি আজই শুরু করে দিন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যান। আপনার স্বপ্নের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইল শুভকামনা।
ডিসক্লেইমার: এই আর্টিকেলের সকল তথ্য সর্বশেষ (২০২৫) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে তৈরি। আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করে নিন।

Dhaka Alert একটি তথ্যভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি পাবেন বাংলাদেশের সর্বশেষ চাকরির খবর, ভর্তি তথ্য, শিক্ষা সংবাদ, স্কলারশিপ আপডেট এবং ক্যারিয়ার গাইডলাইন। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটি নির্ভরযোগ্য, আপ-টু-ডেট এবং সহায়ক মাধ্যম গড়ে তোলা, যা শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী এবং সাধারণ পাঠকের তথ্য চাহিদা পূরণ করবে।