গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা : গ্রামীণ ব্যাংকের নাম শুনেন নি এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। বিশেষ করে গ্রামঞ্চলের মানুষ যারা গ্রামীণ ব্যাংকার সাথে লেনদেন করেছেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন তারা গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে বেশ পরিচিত। বাংলাদেশে অন্যান্য ব্যাংকের মতো গ্রামীণ ব্যাংক অন্যতম। তবে গ্রামীণ ব্যাংকের বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা আছে যার কারণে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচিতি সারা বাংলাদেশে অনেক বেশি। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই গ্রামীণ ব্যাংক। তখন থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে গ্রামীণ ব্যাংক চেষ্টা করে বাংলাদেশের অর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করা। সে লক্ষে তারা কাজ করে যায়। বিশেষ করে গ্রামের দরিদ্র মানুষের দারিদ্রতা বিমোচনে কাজ করে এই গ্রামীণ ব্যাংক।
আপনারা অনেকে জানেন না গ্রামীণ ব্যাংকের লোন সম্পর্কে। যার কারণে লোন তুলতে গেলে অনেক রকমের বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হয়। আপনাদের যদি আগে থেকে জানা থাকে কিভাবে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন তুলবো তাহলে আর এই বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হয় না। আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে। তাই আজকের আমরা আজকের আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করেছি গ্রামীণ ব্যাংকের লোন সম্পর্কে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে।
আরো পড়ুন : অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা 15 টি পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া
গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে ভূমিকা
১৯৭৬ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংক তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংক পল্লী বা গ্রামের হলেও এই ব্যাংক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা। এই ব্যাংকের মূল কাজ গ্রামে বা পল্লীতে দরিদ্র অসহায় মানুষদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঋণ বা গ্রামীণ ক্রেডিট প্রধান করে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক চেষ্টা করে তাদের তাদের ঋণ গ্রহীতাকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে। এছাড়া যারা গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করে তাদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দেয় গ্রামীণ ব্যাংক।এক কথায় বলতে গেলে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ও পল্লী বা গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের অবদান সব চাইতে বেশি।
গ্রামীণ ব্যাংকের ইতিহাস
অনেকে নোবেল বিজয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস কে চিনেন। আবার তিনি যে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন তা জানেন কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের ইতিহাস সম্পর্কে জানেন না।আজকের আপনারা যারা নোবেল বিজয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস কে চিনেন তিনি ১৯৭৬ সালে এই সংস্থার গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৬ সাল থেকেই গ্রামীণ ব্যাংক তার কার্যক্রম শুরু করে। এক পর্যায়ে এই ব্যাংক ১৯৮৩ সালে বৈধ ও স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসেবে পরিচিত হয়।
এই ব্যাংকের সদরদফতর ঢাকা বাংলাদেশ। এই ব্যাংক সব থেকে বেশি উন্নতি করে ২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত। ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের মোট ঋণগ্রহীতার সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ, যার ৯৬.৮১% নারী। এই ব্যাংক ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাবিটেট অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে ১৯৯৮ সালে। প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল বিজয় করে ২০০৬ সালে। ব্যাংকের সাফল্য বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ সহ ৬৪টিরও বেশি দেশে অনুরূপ প্রকল্পের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে এই গ্রামীণ ব্যাংক , তাদের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের গ্রামীণ ধরনের ঋণ ব্যবস্থা অর্থায়নের উদ্যোগও রয়েছে।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে সরকারি তথ্য অনুযায়ি ২৭০০০ লোক অনাহারে মারা যায়। এই দুর্ভিক্ষের সময় ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস ৪২ টি পরিবারকে নিয়ে গ্রুপ তৈরী করেন। এই গ্রুপকে ২৭ মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছিলেন। যারা পণ্য উৎপাদন করে পণ্য বিক্রয় করতে চেয়েছিলেন তাদের এই ঋণ অনেক বড় উপকার হয়। এই সব দরিদ্র মানুষ যাতে উচ্চ হারে ঋণ থেকে মুক্ত থাকে তাদের জন্য স্বল্প হারে সুদের জন্য এই ঋণ দেওয়া হয়। মোহাম্মদ ইউনুস তখন বিশ্বাস করতেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এই ঋণ ব্যাবসায়ী যারা পণ্য উৎপাদন করে তাদের উৎসাহিত করে এবং বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠী যারা গ্রামে দরিদ্র তাদের দারিদ্রতা হ্রাস করতে পারে।
আরো পড়ুন : মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা
আপনারা অনেকেই গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন আবার অনেকে চেষ্টা করতেছেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে। অনেকে জানেন না গ্রামীণ ব্যাংকের কি কি সুযোগ সুবিধা আছে। নতুন যারা লোন নিতে চান তারা জানে চান গ্রামীণ ব্যাংক কি সত্যি সত্যি লোন দেয়। গ্রামীণ ব্যাংক কাদের কাদের লোন দেয়। লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে কি তারা সুযোগ সুবিধা দেয়। অনেক প্রশ্ন আপনারা জানতে চান। তাদেরকে বলছি গ্রামীণ ব্যাংক সত্যি সত্যি লোন দেয়। গ্রামে বা পল্লীতে যারা অতি দরিদ্র বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে পণ্য তৈরী করে তাদেরকে লোন দেয়। গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ গ্রহীতাকে ও গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করে তাদের অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই আমরা এই আর্টিকেল এ আলোচনা করার চেষ্টা করেছি গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা।
বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান, যা প্রধানত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থিক সেবা প্রদান করে। এই ব্যাংকটি মূলত ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান এবং দারিদ্র্য বিমোচন লক্ষ্যে কাজ করে। এর কিছু উল্লেখযোগ্য সুযোগ-সুবিধা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
১. ক্ষুদ্র ঋণ (Microcredit) প্রদান : গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কাজ ক্ষুদ্র ঋণ প্রধান করা। এই ব্যাংক গ্রামের হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের কাছে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে। যারা এই ঋণ নেয় তারা ছোট ব্যবসা শুরু করা বা চলমান ব্যবসা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। গ্রামীণ ব্যাংক শুরু থেকেই মহিলাদের ক্ষমতায়নে কাজ করে। কারণ গ্রামীণ ব্যাংক থেকে যারা লোন নেয় তাদের অধিকাংশ নারী ঋণ গ্রহীতা। অতিদরিদ্র নারী জনগোষ্ঠী সাবলম্বী হওয়ার পিছনে গ্রামীণ ব্যাংকের অবদান অনেক বেশি।
২ ) শিক্ষা ঋণ (Education Loans) : শিক্ষা ঋণ ছাত্র ছাত্রীদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ঋণ। গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামের দরিদ্র অথচ মেধাবী ছাত্রী ছাত্রীদের ঋণ দিয়ে থাকে। এতে করে দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়ার করার সুবিধা পায় এবং তাদের ভবিষ্যৎ উন্নত করতে পারে। এতে করে দেশের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা সহজে লেখাপড়া করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।
৩ ) সঞ্চয়ী হিসাব (Savings Account) : গ্রামীণ ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব এর মাধ্যমে টাকা জমা রাখার সুবিধা আছে। গ্রামের অনেক দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবার তাদের আয় থেকে প্রতিমাসে সঞ্চয় করে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক সুবিধা করে দিছে এই সঞ্চয় করার। ফলে ভবিষ্যতে যদি টাকা দরকার হয় তবে এই এই টাকা ব্যবহার করতে পারেন।
৪ ) মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা (Mobile banking facility) : গ্রামীণ ব্যাংক তার গ্রাহকদের মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা দিয়ে থাকে। গ্রাহক বা ঋণ গ্রহীতা তাদের লেনদেন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে করতে পারেন। গ্রাহক সহজে ও সুরক্ষিত ভাবে আর্থিক কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারেন।
৫ ) বাড়ি ঋণ (Housing Loans) : এই বাড়ি ঋণ (Housing Loans) গ্রামে যাদের ঘর বাড়ি নাই তাদের জন্য অনেক উপকারী। দরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা বাড়ি করার জন্য ঋণ খুঁজে থাকেন তাদের স্বল্প সুদ হারে বাড়ি ঋণ (Housing Loans) দিয়ে থাকে গ্রামীণ ব্যাংক। এতে করে যাদের ঘর বাড়ি নাই তাদের সুবিধা হয় সহজে বাড়ি তৈরী করতে পারেন এবং ঘর মেরামত করতে পারেন।
৬ ) কৃষি ঋণ (Agricultural Loans) : গ্রামের কৃষকদের কৃষি ঋণ (Agricultural Loans) দিয়ে থাকে এই গ্রামীণ ব্যাংক। এতে কৃষকদের অনেক উপকার হয় কৃষি কাজে। গ্রামের কৃষকরা যারা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তাদের মাঝে মাঝে কৃষি ঋণ দরকার হয়। তাই গ্রামীণ ব্যাংক তাদের স্বল্প সুদ হরে কৃষি ঋণ দিয়ে থাকে।
৭ ) বীমা সুবিধা (Insurance Facilities) : গ্রামীণ ব্যাংক তার গ্রাহক বা ঋণ গ্রহীতাদের বীমা সুবিধা (Insurance Facilities) দিয়ে থাকে। গ্রামে যারা বীমা করতে আগ্রহী তাদের বীমা করার সুবিধা দিয়ে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক তার ঋণগ্রহীতাদের জন্য জীবন বীমা এবং স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা প্রদান করে, যা কোনো অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করে।
৮ ) নারীর ক্ষমতায়ন ( Empowerment of women) : গ্রামীণ ব্যাংক নারীদের স্বল্প সুদ হারে ঋণ সুবিধা দিয়ে নারীদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতার ৯৫% নারী। এইজন্য গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামের নারীর স্বাবলম্বী ও নারী নারীর ক্ষমতায়ন কাজ করে যাচ্ছে।
৯ ) গ্রামীণ কল্যাণ সুবিধা: গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামে বা পল্লীতে কিছু সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমে জড়িত। এটি স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা,ব্যবসায় ও সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করে, যা স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
১০ ) সহজলভ্য ঋণ : গ্রামীণ ব্যাংক তাদের গ্রাহক ও ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সহজ শর্তে ঋনের ব্যবস্থা করেছেন। যার কারণে ঋণ তুলতে গেলে ঋণ গ্রহীতাদের ভোগান্তি পোহাতে হয় না। গ্রামীণ ব্যাংক সবচাইতে বেশি ঋণ দেয় নারীদের। তাদেরকেও সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে।
১১ ) অগ্রিম পরিশোধের সুবিধা : গ্রামীণ ব্যাংক থেকে যারা ঋণ গ্রহণ করেন তারা কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করে। ব্যাংক তাদের সুবিধা দিয়েছে আগাম ঋণ পরিশোধের সুবিধা। আগাম ঋণ পরিশোধের কারণে তারা অতিরিক্ত সুদের বোঝা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।এতে ঋণ গ্রহীতার অনেক বড়ো উপকার হয়।
১২ ) কম সুদের হার : গ্রামীণ ব্যাংকে ঋণে সুদের হার অনেক কম অন্যান্য ব্যাংকে সুদের হারের তুলনায় গ্রামীণ ব্যাংকে সুদের হার কম। সুদের হার কম থাকায় যারা ঋণ গ্রহণ করেন তাদের ঋণ পরিষদ করতে সুবিধা হয়।
১৩ ) বিভিন্ন ধরণের ঋণ : আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরণের ঋণ দিয়ে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক মূলত ক্ষুদ্র ঋণ ও সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার জন্য বেশ পরিচিত।
১৪ ) প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ : গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ গ্রহীতা ও গ্রাহককে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকে। বিশেষ করে গ্রামে যারা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক নারীদের সাবলম্বী করার জন্য নানানমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে।
এতক্ষন আমরা আলোচনা করলাম গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে। যারা গ্রামে থাকেন এবং গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন তারা জানেন গ্রামীণ ব্যাংক গ্রাহক কে কত ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। এছাড়া যারা গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন তাদের ও এই ব্যাংক অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। ফলে গ্রামের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন হয়ে থাকে। নারী ক্ষমতায়ন এবং নারী উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের অবদান সব চাইতে বেশি।
গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা FAQ
Grameen Bank এর মালিক কে?
গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক হল এর ঋণগ্রহীতারা। প্রফেসর ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক নন।
গ্রামীণ ব্যাংক কিভাবে দরিদ্রদের সাহায্য করে?
গ্রামীণ ব্যাংক মূলত গ্রামে দরিদ্রদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করে। দরিদ্রদের ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে জামানত লাগে না। দরিদ্রদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে। এছাড়া ঋণের পাশা পাশি তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করে।
বাংলাদেশ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
বাংলাদেশ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ১৯৭৬ সালে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ শুরু করেন। এরপরে ১৯৮৩ সালে সরকারী আইনের মাধ্যমে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ড. ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক তাদের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির জন্য ২০০৬ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।