মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা
মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা : মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। মোবাইল ফোনের আছে অনেক উপকারী দিক আবার আরো আছে ক্ষতিকর দিক। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব অনেক বেশি। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে মোবাইল দিয়ে কর্মজীবন শুরু। আবার রাতে গুমানোর আগে মোবাইল দিয়ে কর্মজীবনের শেষ। কর্মের ফাঁকে অবসর সময়ে আমরা মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। দিন দিন আমরা এতোটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছি যে আমরা প্রযুক্তি ছাড়া একদিন চলতে পারি না। প্রযুক্তির সব চাইতে বড় অবদান এই মোবাইল ফোন। এক মোবাইল দিয়ে যে কত কিছু করা যায় আপনারা চিন্তা করতে পারবেন না।
আমাদের প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো খেয়ে ফেলে এই মোবাইল। সারাদিন মোবাইলের উপকারিতা ও ব্যবহার করতে করতে আমরা ভুলে যাই মোবাইল এ অনেক ক্ষতিকর দিক ও আছে। মোবাইল এর আপডেট ভার্সন এন্ড্রয়েড মোবাইল এর কাজ দেখলে করে যাবেন। কারণ এই মোবাইল এ আছে অনেক এপস। এই এপস দিয়ে করা যায় না এমন কোনো কাজ নাই। এনাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করতে প্রযুক্তির কল্লানে এসেছে এই মোবাইল ফোন। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দিয়ে যা করা যায় এই সব কাজ করা যায় এই মোবাইল দিয়ে। এক আন্তর্জাতিক জরিপে দেখা যায় সারা বিষয়ে মোট ৭ মিলিয়ন এর বেশি মানুষ এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে।
এক সময় মানুষ কল্পনা করতে পারতো না মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এত কিছু করা সম্ভব। গোটা বিশ্ব যেন এখন মোবাইল ফোনের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। এর সব চাইতে বোরো কারণ এক দিকে মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা অপরদিকে মোবাইল ফোনের নানান রকমের সুবিধা ইত্যাদি কারণ। মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতে করতে কখন যে সময় শেষ হয়ে যায় তা কল্পনা করা যায় না।মোবাইল ফোনের এত এত সুবিধা ও উপকারিতা যে এখন আপনারা মোবাইল ফোন ছাড়া একদিন ও থাকতে পারবেন না। মোবাইল ফোন ছাড়া প্রতিটা সময় আপনাদের কষ্ট দিবে। মোবাইল ফোনের নানা রকমের সুবিধা এর কারণে আমরা মোবাইল ফোনের উপর আসক্ত হয়ে পড়েছি।
যখন প্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কার করা হয় তখন মানুষ কল্পনা ও করতে পারে নি এক মোবাইল ফোন দিয়ে এত কিছু করা সম্ভব হবে। যত দিন যাচ্ছে ততো মোবাইল ফোনের যন্ত্রপাতির আপডেট হচ্ছে। তাই আমরা ব্যবহার করতে পারছি মোবাইল এর নতুন নতুন ফিচার। দিন দিন কম্পিউটার ,ল্যাপটপ এর সাথে মোবাইল ফোনের যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে। কম্পিউটার ল্যাপটপ এ যেসব সুবিধা যোগ করা হয়েছে মোবাইল ফোন ঠিক একই সুবিধা যোগ করা হয়েছে।
মোবাইল ফোনের উপকারিতা
এক মোবাইল ফোনের যে কত ধরণের সুবিধা বলে শেষ করা করা যাবে না। মোবাইল প্রযুক্তির বড় অবদান। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমানো পর্যন্ত বেশিরবাগ সময় আমরা মোবাইল এর পিছনে সময় দিয়ে থাকি। আমাদের জীবন যাত্রার মান সহজ থেকে সজতর হয় এই এক মাত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।মোবাইলের এক একটি এপস এ রয়েছে আলাদা আলাদা ফিচার। গুগল প্লে স্টোর থেকে এপস ডাউলোড করে আমরা এই সব এপস ব্যবহার করতে পারি। এক কোথায় কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সব কাজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা যায়।
১) যোগাযোগের সহজ উপায় : মোবাইল ফোনের সব চাইতে বড় উপকার যোগাযোগ ব্যাবস্থাকে একেবারে সহজ করে দেয়। আমরা অতি দ্রুত এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যোগাযোগ করে পারি এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। একে বারে মুহূর্তের মধ্যে আমাদের বন্দু বান্দব আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ খবর নিতে পারি এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। জরুরি মুহূর্তে ডক্টর ,পুলিশ ,এম্বুলেন্স ,ফায়ার সার্ভিস এর সাথে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারি এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। ছাত্র ছাত্রী তাদের শিক্ষকদের সাথে ,অফিস কোনো আত্মীয় স্বজন বা বন্ধু বান্ধব অথবা প্রতিবেশী বিপদে পড়লে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারি এই মোবাইলের মাধ্যমে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যাবস্থা কত বেশি উপকার বলে শেষ করা যাবে না।
২) ব্যবসায়িক সুযোগ : ব্যাবসায়ীদের ব্যবসা করতে মোবাইল ফোনের উপকারিতা অনেক বেশি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী দের কাজ কর্ম আরো সহজ হয়। ব্যাবসায়ীদের যোগাযোগ করতে সুবিধা হয়। অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা, ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ, ই-মেইল পাঠানো ইত্যাদি কাজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দ্রুত করা যায়।মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাবসায়ীরা টাকার লেনদেন করতে পারে সহজে। এইসব কারণে ব্যবসায়ীদের মোবাইল ফোনের গুরুত্ব অনেক বেশি।
৩ ) ইন্টারনেট সুবিধা : মোবাইল ফোনের সাথে ইন্টারনেট যুক্ত করে আমরা সহজে বিভিন্ন অনলাইন কার্যক্রম করতে পারি। যা আমাদের জীবন যাত্রাকে আরো সহজ করে দেয়। মোবাইল এর বিভিন্ন এপ্স আছে এই এপস দিয়ে নানা রকম কাজ করা যায়। এইসব কারণে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব অনেক বেশি।
৪ ) শিক্ষা ও তথ্য প্রাপ্তি : শিক্ষা ও তথ্য প্রাপ্তিতে মোবাইল ফোনের উপকারিতা অনেক বেশি। মোবাইল এর মাধ্যমে এখন অনলাইন এ ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে। অনলাইন কোর্স, ইউটিউব, ই-বুক ইত্যাদি থেকে সহজেই শিক্ষা গ্রহণ এবং তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব।ক্লাসের অনেক গুরুপূর্ণ নোট ,পিডিএফ করে এছাড়া সরকারি শিক্ষা সংক্রান্ত নোটিশ ,সিলেবাস ,রুটিন মোবাইল এর মাধ্যমে ডাউনলোড করে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়। করোনার সময় যখন বিশ্বব্যাপী মহামারী চলছিলো তখন স্কুল এ বা কলেজ এ ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছিলো না তখন ছাত্র ছাত্রী ঘরে বসে অনলাইন এ ক্লাস করতো এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। অতএব বলা যায় শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল এর উপকারিতা অনেক বেশি।
৫ ) বিনোদন : বিনোদনের জন্য মোবাইল ফোন এর গুরুত্ব অনেক বেশি। বিনোদনের জন্য মোবাইল ফোন এক জন ভালো সঙ্গী হিসাবে কাজ করে। সারা দিন কাজ করার পর যখন আমরা ক্লান্ত থাকি তখন আমরা মোবাইল ফোন হাতে নেই। এই সময় ফেইসবুক ,ইউটুবে ,টিকটক আমরা নানান রকম বিনোদন মূলক ভিডিও দেখতে পারি। এইসব বিনোদনের কারণে আমাদের ক্লান্তি দূর হয়। অনেকে আবার গেম খেলায় আসক্ত তাই নানা রকম গেম ডাউনলোড করে গেম খেলে সময় কাটায়। তাই বলা যায় অবসর সময়ে বিনোদনের জন্য মোবাইল ফোন আমাদের অধিক উপকার করে।
৬ ) দৈনন্দিন কাজে উপকারিতা : আমাদের কিছু দৈনন্দিন কাজ আছে এই সব কাজে মোবাইল ফোন আমাদের উপকার করে। যেমন অ্যালার্ম ,ক্যালেন্ডার ,ক্যালকুলেটর ,নোট সংরক্ষণ ,ইত্যাদি দৈনন্দিন কাজে এই মোবাইল ফোন আমাদের সহায়তা করে। এছাড়া সময় দেখতে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি।তাই আমাদের দৈনন্দিন কাজে মোবাইল ফোন সাথে রাখলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
৭) কিছু সাধারণ কাজে মোবাইল ফোন : আমরা প্রতিদিন কিছু টুকিটাকি কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি যেমন ছবি তোলা ,ভিডিও শুট করা ,গেম খেলা , তথ্য আদান প্রদান করা ইত্যাদি কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি।
৮ ) প্রবাসে যোগাযোগ : প্রবাসে যোগাযোগ এ মোবাইল ফোন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা অতি দ্রুত এক দেশ থেকে অন্য দেশে যোগাযোগ করতে পারি। এক সময় অতি দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হতো না। তখন চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ হতো। এই জন্য তাদের ১ সপ্তাহ থেকে ১ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো এখনকার দিনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয় তাই বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় না।
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা। এতক্ষন আলোচনা করলাম মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে। মোবাইলের দৈনন্দিন কার্যাবলী বিবেচনা করলে দেখা যায় মোবাইল ফোনের উপকারিতা অনেক বেশি। মোবাইল ফোনের অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও মোবাইল এর আছে কিছু অপকারিতা। মোবাইলের কিছু ক্ষতিকর দিক আছে যা মানব জীবনের ভয়াণক ক্ষতিকর। তাই আপনাদের আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে নতুবা ঘটতে পারে ভয়ানক বিপর্যয়। মোবাইলের অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
মোবাইল ফোনের অপকারিতা
১ ) স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি : মোবাইলে আছে অনেক উপকারী দিক পাশা পাশি আছে কিছু ক্ষতিকর দিক। যেমন দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে চোখের সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ওপর চাপ পড়তে পারে।এছাড়া, অতিরিক্ত রেডিয়েশনের কারণে স্বাস্থ্যগত নানাবিধ ঝুঁকিও থাকতে পারে। তাই আপনাদের এই বিষয় আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। নতুবা স্বাস্থ্যগত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
২ ) সময় অপচয়: প্রয়োজনের থেকে বেশি সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে সময় অপচয় হয়।মোবাইল ফোনে গেম, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক সময় অপচয় হয়, যা ব্যক্তিগত ও শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করে এই মোবাইল ফোন। যার কারণে অনেক সময় আমরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারি না এই মোবাইল ফোনের কারণে। সময় অপচয় রোধে আমাদের আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত।
৩ ) আসক্তি সৃষ্টি : মোবাইল ফোনে বিভিন্ন রকম আকর্ষণীয় অ্যাপ বা গেম ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকে আসক্ত হয়ে পড়ে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।এই কারণে আসক্তি যদি না হয় সে জন্য আপনাদের আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে।
৪ ) ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সমস্যা : মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই হ্যাকিং, তথ্য চুরি বা প্রতারণা এবং ব্যাক্তিগত তথ্য ফাস হতে পারে। এছাড়া, বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রতারণার ঝুঁকিও থাকে।এইসব মোবাইল ব্যবহারিকে মারাত্মক বিপদে ফেলতে পারে। জুকি এড়াতে আগে থেকে সাবধান হওয়া
৫) ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ায় সমস্যা : অপ্রয়োজনীয় মোবাইল ব্যবহার এবং মোবাইলের প্রতি আসক্তির কারণে ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ায় সমস্যা হতে পারে। অনেক ছাত্র ছাত্রী আছে যারা লেখাপড়ার মূল্যবান সময় মোবাইলের পিছনে সময় ব্যয় করে থাকে যার কারণে লেখাপড়ায় মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই জন্য পিতা মাতার উচিত সচেতন হওয়া।
৬) সামাজিক বিচ্ছিন্নতা : এখনকার সময়ে অতিরিক্ত মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আমরা আমাদের আত্মীয় প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিচ্ছি।এতে করে দিনে দিনে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা তৈরী হচ্ছে। এইজন্য আমাদের মোবাইল ও ইন্টারনেট এর প্রতি আসক্তি কমিয়ে সামাজিক বন্ধন অটুট রাখা উচিত।
এতক্ষন আমরা আলোচনা করলাম মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা। বাস্তব জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা অনেক বেশি। মোবাইল ফোন ছাড়া একটি দিন কল্পনা করা যায় না। আমাদের প্রত্যেকটি দিনকে অনেক সহজ করে দিছে এই মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা অতি দ্রুত সব ধরণের কাজ করতে পারি। যেহেতু আমরা প্রতিদের কাজে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। তাই আমাদের মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা জানা আবশ্যক।
মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা FAQ
মোবাইল ফোনের উপকারিতা কি কি?
১) যোগাযোগের সহজ উপায় ,২) ব্যবসায়িক সুযোগ ,৩ ) ইন্টারনেট সুবিধা ,৪ ) শিক্ষা ও তথ্য প্রাপ্তি ,৫ ) বিনোদন ,৬ ) দৈনন্দিন কাজে উপকারিতা ,৭) কিছু সাধারণ কাজে মোবাইল ফোন ,৮ ) প্রবাসে যোগাযোগ
মোবাইল কি উপকারী নাকি ক্ষতিকর?
মোবাইল ফোনের উপকারীতা এবং ক্ষতিকারক দিক দুই-ই রয়েছে। এটা নির্ভর করে মোবাইল ব্যবহারের ধরন এবং সময়ের উপর। প্রয়োজনীয় যতটুকু সময় ব্যাবহার করা উচিত ততটুকু সময় ব্যাবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। প্রয়োজনের বেশি সময় ব্যবহার করলে উপকারের পাশা পাশি ক্ষতি হতে পারে।