প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
প্রিয় ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রযুক্তি সম্পর্কে ,প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা। আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের দেশ বিদেশ বর্তমান সময়ের বিশ্লেষণ করে সঠিক তথ্য দেওয়ার। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল আপনাদের উপকারে আসবে।
আমরা দিন দিন হয়ে উঠেছি প্রযুক্তি নির্ভর। পুরা বিশ্ব আজ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে। এমন কিছু নাই যা প্রযুক্তির মধ্যে নাই। আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। দৈনন্দিন প্রত্যেকটি কাজে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। শিক্ষা ,কেনাকাটা থেকে শুরু করে চিকিৎসা ,ব্যবসা ,যোগাযোগ সব ক্ষেত্রে আজ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। গোটা বিশ্বের যোগাযোগ আজ যেন প্রযুক্তির একটি পরিবার। প্রযুক্তির ব্যবহারের সাথে বেড়ে চলেছে প্রযুক্তির অপব্যাবহার।তাই সবার জানা উচিত প্রযুক্তির ব্যবহার ও অপব্যাবহার সম্পর্কে।
প্রযুক্তি কি ?
প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে আমাদের সবার আগে জানতে হবে প্রযুক্তি কি? প্রযুক্তিকে ইংরেজিতে বলে টেকনোলজি। প্রযুক্তি বলতে বুজায় বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, কৌশল, প্রক্রিয়া কে কাজে লাগিয়ে যেকোনো যন্ত্র ও প্রাকৃতিক উপাদানকে কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রার মানকে সহজ করাকে প্রযুক্তি বলে। এটি বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশল জ্ঞানকে ব্যবহার করে নতুন পদ্ধতি, যন্ত্রপাতি, এবং পরিষেবা উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে সহজ, উন্নত এবং দক্ষ করে তোলে।তাই জীবন যাত্রার মানকে উন্নত করতে হলে প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নাই।
প্রযুক্তির উপকারিতা
১ ) যোগাযোগের উন্নতি : গোটা বিশ্বের যোগাযোগের উন্নতির পিছনে প্রযুক্তির অবদান সব চাইতে বেশি। সেই আদিম যুগের মানুষ এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে বার্তা প্রেরণ করতো পশু পাখির মাধ্যমে অথবা মানুষের মাধ্যমে।এতে সময় নষ্ট হতো অনেক। আর এই আধুনিক যুগে এক প্রান্তের খবর আর এক প্রান্তে পাঠানো যায় মাত্র কয় এক সেকেন্ডে। বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সব চাইতে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ইমেইল,ফেইসবুক,টুইটার ,মেসেঞ্জার ইত্যাদি। আর এই যোগাযোগের উন্নতির প্রভাব পড়েছে সব ক্ষেত্রে। মানুষ এই যোগাযোগ ব্যাবস্থাকে আরো উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
ইমেইল এবং দ্রুত বার্তা প্রেরণ : বর্তমান যুগে দ্রুত বার্তা প্রেরণ এর জন্য ব্যবহার করা হয় ইমেইল এছাড়া রয়েছে হোয়াটসআপ,ইমো ,মেসেঞ্জার ,ফেইসবুক টুইটার।
ভিডিও কনফারেন্সিং : ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এক এস্থান থেকে অন্য স্থান সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমে মিটিং করা যায়। Zoom, Microsoft Teams, Google Meet এই সফটওয়্যার গুলা ব্যবহার করা হয় ভিডিও কনফারেন্সিং এর জন্য। স্কুল কলেজ ,অফিস আদালত এই সফটওয়্যার গুলার মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং করে থাকে।
২ ) স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে : বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটেছে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে। এক সময় মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য মারা যেত। এই যুগে আধুনিক চিকিৎসা ও আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যাবস্থার জন্য খুব অল্প সময় রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে অল্পসময়ে রুগি সুস্থ হচ্ছে। এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী হয়েছে মরণব্যাধি রোগের টিকা। ফলে বেঁচে যাচ্ছে বহু প্রাণ। বিজ্ঞানীরা তৈরী করছে নানান রোগের এন্টিবডি ফলে রোগীর চিকিৎসা আরো সহজ হচ্ছে ।
আরো পড়ুন : স্বাস্থ্য টিপস পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম : তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরী করা হয়েছে। এই আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম এর মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো সহজ হয়েছে। এখন অল্প সময়ে রুগীর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি যেমন MRI, CT স্ক্যান, রোবটিক সার্জারি যন্ত্রপাতি রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা অনেক সহজ এবং নির্ভুল করেছে।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অ্যাপস : বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এসে অনেক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়ার জন্য অ্যাপস ও ওয়েবসাইট তৈরী করেছে এই অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অনেক চিকিৎসক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে থাকে। দেশের মহামারী ও বন্যার সময় এক প্রান্তের মানুষ অন্য প্রান্তের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারে শুধু এই অ্যাপস এর মাধ্যমে।
৩ ) শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন : শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বড় পরিবর্তন এনেছে। যুগের ক্রমবর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতির পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করতে হতো। এখন তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অনলাইন কোর্স এবং ই-লার্নিং ,ই-বুক এবং রিসার্চ পেপার এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়েছে।
৪ ) ব্যবসা ও বাণিজ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি : ব্যবসা ও বাণিজ্যে প্রযুক্তির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। এই ব্যবসা ও বাণিজ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি সবচাইতে বেশি অবদান রেখে চলেছে। প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহারের ফলে ব্যবসা ও বাণিজ্যের আরো সহজে করা সম্ভব হচ্ছে। দেশের স্থানীও পর্যায়ে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসা ও বাণিজ্যে করতে সাহায্য করছে তথ্য ও প্রযুক্তি। যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতির ফলে দিন দিন ব্যবসা ও বাণিজ্যে আরো সহজ হচ্ছে।
ই-কমার্স : বর্তমান বিশ্বে সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় ই-কমার্স ব্যবসায়। তথ্য ও প্রযুক্তি সঠিকভাবে প্রয়োগ করার ফলে ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে সহজে এক প্রান্তের মানুষ অন্যদেশের পণ্য কিনতে পারে। Amazon, Alibaba, Daraz এর মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে পণ্য কিনতে ও বিক্রি করতে পারে।
অনলাইন ব্যাংকিং এবং পেমেন্ট সিস্টেম: অনলাইন ব্যাংকিং এবং পেমেন্ট সিস্টেম এর মাধ্যমে মানুষ এখন সহজে পেমেন্ট করতে পারে। (যেমন bKash, PayPal, Payoneer,ucash ,binance ) এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন দ্রুত এবং নিরাপদ হয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং: প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য এবং সেবা বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্যের মার্কেটিং মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে সবখানে পণ্যের বিজ্ঞাপন পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। টার্গেট অডিয়েন্স দের কাছে সহজে পণ্যের বিজ্ঞপন পৌঁছানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে Facebook Ads, Google Ads ,bing ads এর মত প্ল্যাটফর্ম।
৫ ) কৃষি ক্ষেত্রে : প্রযুক্তির ছোয়া লেগেছে কৃষিক্ষেত্রে। আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুন। জমিতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক পাওয়ার টিলা ,নিরানী মেশিন ,বিভিন্ন রকম সার ও কীটনাশক। যার ফলে কৃষক এখন কম পরিশ্রম করে অধিক ফসল ঘরে তুলছে।
৬ ) উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি : প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আজ কাজের গতি অনেকাংশে বেড়েছে। প্রযুক্তির অবদানের ফলে সফটওয়্যার ,ওয়েবসাইট ,আধুনিক মেশিন ও যন্ত্রাংশ ইত্যাদি তৈরী করা হয়েছে। এতে করে গোটা বিশ্বের পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। তাই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তির অবদান অনেক বেশি।
৭ ) দূরদর্শী সমস্যা সমাধানে সহায়তা : প্রযুক্তির কল্যাণে তৈরী হয়েছে অনেক ধরণের যন্ত্রাংশ ,সফটওয়্যার ,কম্পিউটার,ওয়েবসাইট ,প্রোগ্রামিং ইত্যাদি ফলে জটিল দূরদর্শী সমস্যা সহজে সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে। মানুষের অনেক সময় অপেক্ষা করা দরকার হচ্ছে না। সহজে অতি দ্রুত সময়ে জটিল ও কঠিন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে।
৮) সময় বাঁচানো : প্রযুক্তির অবদানের জন্য তৈরি হয়েছে নানান রকম সফটওয়্যার ,ওয়েবসাইট ,যন্ত্রাংশ ইত্যাদি। সব ক্ষেত্রে রয়েছে প্রযুক্তির ছোয়া মানুষের এখন ম্যানুয়াল ভাবে কোনো কিছু করতে হচ্ছে না। মানুষ এখন সহজে ও দ্রুত যোগাযোগ ও উৎপাদন করতে পারছে। ফলে মানুষের সময় এখন বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে।
৯ ) আবহাওয়া সংবাদ : ৯০ এর দশকের আগে মানুষ ঘূর্ণিঝড় ,জলোচ্ছ্বাস এর খবর আগে পেতো না ফলে ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ের সময় ক্ষতির পরিমান বেশি হতো। আজকের এই দিনে প্রযুক্তির কল্যানে মানুষ আগেই ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ের সংবাদ পায় ফলে বন্যায় ক্ষয় ক্ষতির পরিমান অনেকাংশে কমে যায়। আকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে আবহাওয়াবিদরা আগাম সংবাদ পায়।
১০ ) তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ : আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহারের ফলে কোটি কোটি তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। তাই কাগজে লিপিবদ্ধ তথ্য কম্পিউটার এ সংগ্রহ করলে লিপিবদ্ধ তথ্য পুড়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে কোনো সমস্যা নাই। কম্পিউটার অনলাইন থেকে তথ্য নিয়ে কাজে লাগানো যায়।
১১ ) খরচ কমিয়ে আনা : প্রযুক্তির সঠিক ব্যাবহারের ফলে যোগাযোগ ও উৎপাদন অতিরিক্ত ব্যায় কমিয়ে আনা হয়। উদহারণ হিসেবে বলা যায় আগের দিনে পণ্য ও বার্তা এক স্থান থেকে আর এক স্থানে পাঠাতে অধিক সময় ও খরচ হতো এখনকার দিনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্য ও বার্তা প্রেরণ করতে সময় ও খরচ উভয়ই বাঁচে।
আমরা এতক্ষন আলোচনা করলাম প্রযুক্তির উপকারিতা সম্পর্কে। প্রযুক্তির রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। প্রযুক্তির এই বিশ্বে প্রযুক্তির রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রযুক্তির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত কাজকর্মে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। মানুষ এখন এতটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে যে এক দিন প্রযুক্তি না থাকলে মানুষের কাজকর্ম করা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। তাই প্রযুক্তির উপকারিতা অপরিসীম।
প্রযুক্তির যেমন রয়েছে উপকারিতা তেমন রয়েছে অপকারিতা। প্রযুক্তি ব্যবহার করতে করতে আমরা ভুলেই গেছি যে প্রযুক্তির অপকারিতাও আছে। তাই আমাদের প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে রাখা ভালো।
প্রযুক্তির অপকারিতা
প্রযুক্তির উপকারী দিক যেমন আছে তেমনি আছে ক্ষতিকর দিক। তাই আমাদের সবার উচিত প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখা।
১ ) বেকারত্ব: প্রযুক্তির দিন দিন বৃদ্ধির ফলে আমাদের অধিকাংশ কঠিন ও জটিল কাজকর্ম খুব সহজে করে দিচ্ছে যন্ত্র বা রোবট। এতে করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক নিয়োগ করা দরকার হচ্ছে না ফলে বেকারত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে।
২ ) স্বাস্থ্যগত সমস্যা: দিনের বেশিরভাগ সময় কম্পিউটার ,ইন্টারনেট ,ও মোবাইলের পিছনে সময় দেওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার ,ইন্টারনেট ,ও মোবাইল ব্যবহারের ফলে চোখের ক্লান্তি, মাথাব্যথা, এবং শারীরিক অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, দীর্ঘ সময় বসে থাকা এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাবও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৩ ) নৈপুণ্যের ক্ষতি: কিছু ক্ষেত্রে প্রযুক্তি আমাদের চিন্তাভাবনা এবং সৃজনশীলতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দ্রুত এবং সহজ সমাধান খুঁজতে গিয়ে মানুষের নিজস্ব দক্ষতা এবং নৈপুণ্য হ্রাস পায়।
৪ ) মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা : প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ভার্চুয়াল জীবনের সাথে অতিরিক্ত সম্পৃক্ততা বাস্তব জীবনে সামাজিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
৫ ) গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি : প্রযুক্তির আর একটি ক্ষতিকর দিক হলো মানুষের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি। কম্পিউটার ,ইন্টারনেট ,মোবাইল এইগুলার উপকারী দিক থাকলেও সাইবার অপরাধ, তথ্য চুরি, এবং হ্যাকিং-এর মতো ঘটনাগুলি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে।
৬ ) অর্থের অপচয় : অনেক ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অধিক অর্থ ব্যায় করা হয়ে থাকে। এতে অর্থের অনেক অপচয় হয়।
৭ ) মানব সভ্যতা ধ্বংস : প্রযুক্তির অবদানে উন্নত বিশ্বে তৈরী হচ্ছে পারমাণবিক বোমা সহ নানান রকমের যুদ্ধের সরঞ্জাম। এইসব প্রযুক্তির নিজেস্ব কোনো বুদ্ধিমত্তা নাই। ফলে এইসব যন্ত্রকে যেভাবে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয় সেই ভাবে কাজ করে। এই সব যন্ত্রাংশ যদি ধ্বংসের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে মানব সভ্যতা ধ্বংস হইয়া যেতে পারে।
এতক্ষন আমরা আলোচনা করলাম প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা। প্রযুক্তির উপকারিতা অনেক বেশি। মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তুলেছে প্রযুক্তি। তবে এর ক্ষতিকর দিক ও আছে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে রাখা ভালো এতে করে আপনারা জানতে পারবেন প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
নিচে প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো
প্রযুক্তির উপকারিতা কি কি?
প্রযুক্তির প্রধান উপকারিতা সুবিধা হল:
১ ) যোগাযোগের উন্নতি
২ ) স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে
৩ ) শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন
৪ ) ব্যবসা ও বাণিজ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি
৫ ) কৃষি ক্ষেত্রে
৬ ) উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি
৭ ) দূরদর্শী সমস্যা সমাধানে সহায়তা
৮) সময় বাঁচানো
৯ ) আবহাওয়া সংবাদ
১০ ) তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ
১ ) বেকারত্ব
২ ) স্বাস্থ্যগত সমস্যা
৩ ) নৈপুণ্যের ক্ষতি
৪ ) মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা
৫ ) গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি
৬ ) অর্থের অপচয়
৭ ) মানব সভ্যতা ধ্বংস
1 thought on “প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা”