অল্প পুজিতে সেরা কয়েকটি পাইকারি ব্যবসা
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা : আপনারা যারা লেখাপড়া শেষ করে চাকরি না করে ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য আমাদের আজকের পোস্ট। অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে। আমরা আজ চেষ্টা করেছি আপনাদের পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য। অল্প পরিমান অর্থ বিনিয়োগ করে আপনারা পাইকারি ব্যাবসায় করতে পারেন। অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করার পূর্বে আপনাদের আগে পাইকারি ব্যাবসায় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে।
কোথায় থেকে পণ্য কিনবেন ,কি দাম দিয়ে পণ্য কিনবেন ,কোথায় এই পণ্য বিক্রয় করবেন ,কত টাকা হলে বিক্রয় করতে পারবেন এই সব সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা থাকতে হবে। পাইকারি ব্যাবসায় : উৎপাদক বা ডিলারের কাছ থেকে পণ্য কিনে সামান্য লাভে খুচরা ব্যাবসায়ীর কাছে পণ্য বিক্রয় করাকে পাইকারি ব্যাবসায় বলে এই খানে পাইকার ব্যাবসায়ের মধ্যস্বত্ব ভুগি।
আর খুচরা ব্যাবসায়ী পাইকারের কাছ থেকে পণ্য কিনে ভোক্তার কাছে সরাসরি বিক্রয় করে থাকে। পাইকারি ব্যবসা স্বল্প সময়ের ব্যাবসায়। পাইকারি ব্যাবসায়ে অল্প সময় ব্যায় করে অল্প পরিমান অর্থ বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা উপার্জন করা সম্ভব হয়। পাইকারি ব্যাবসায় যেহেতু অল্প সময়ের ব্যাবসায় এবং অল্প অর্থ বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা করা সম্ভব তাই এই ব্যাবসায় ঝুঁকি কম।
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা
লেখাপড়ার সময় অথবা লেখাপড়া শেষে বেকার বসে না থেকে আপনারা অনেকে চাকরি করতে চান আবার অনেকে ব্যাবসায় করতে চান। চাকরি করার চাইতে অনেকে ব্যাবসায় কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন কারণ ব্যাবসায় স্বাধীন পেশা। অন্যের অধীনস্ত না থেকে ব্যাবসায় অধিক উত্তম।অনেকে আবার অল্প পুঁজি থাকার কারণে কোন ব্যাবসায় করবেন বুজতে পারেন না। পাইকারি ব্যাবসায় করে অল্প পুঁজিতে অল্প সময়ে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারেন। পাইকারি ব্যাবসায়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যাবসায়ে আছে যে গুলা অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে ওদিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেক ব্যাবসায় আছে যেগুলা করে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। তবে আমরা আজ আপনাদের কয়েকটা ব্যাবসায়ের আইডিয়া দেব। এই সব ব্যাবসায়ে করে আপনারা অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করতে পারবেন।
ব্যবসায় করতে হলে দরকার কঠোর পরিশ্রম ,পুঁজি ,শিক্ষা।প্রথম পর্যায়ে ব্যাবসায় করতে হলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। নিজে যদি কঠোর পরিশ্রম না দিতে পারেন তবে ব্যবসায় করার দরকার নাই। কারণ পাইকারি ব্যাবসায় করতে হলে অধিক পরিশ্রম করা দরকার।পরিশ্রম করলে সাফল্য নিশ্চিত।মেয়েরা যদি ঘরে বসে ইনকাম করতে চান তবে এই পোস্ট দেখতে পারেন মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
পাইকারি ব্যাবসায় সম্পর্কে তো এতক্ষন আলোচনা হলো। এখন চলেন অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১) কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা : কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা বর্তমানে অধিক জনপ্রিয়। এই ব্যাবসা করে প্রতিদিন অধিক অর্থ ইনকাম করা সম্ভব। পাইকারি ব্যাবসায়ের মধ্যে যে কয়টি ব্যাবসা রয়েছে তার মধ্যে কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা সহজ ও অল্প পুঁজির ব্যাবসা। সারা দেশে কাঁচামালের যে চাহিদা তাতে এই ব্যাবসায় ঝুঁকির পরিমান কম। আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যারা কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
আমাদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। আমরা প্রতিদিন কাঁচামাল কিনে থাকি।কাঁচামালের ব্যাবসায় গ্রামের উৎপাদক থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ব্যাবসায় করতে হলে উৎপাদক ও খুচরা ব্যাবসায়ীর সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।গ্রামের উৎপাদকের কাছ থেকে পণ্য কিনে শহরে ডিলার এর কাছে বা খুচরা ব্যাবসায়ীর কাছে বিক্রি করতে পারেন। শহরে প্রতিদিন কাঁচামালের ক্রয় বিক্রয় ও স্থানীও চাহিদা থাকার কারণে পণ্য বিক্রয় নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। নেওয়া মাত্রই সব পণ্য বিক্রয় হয়ে যায়।
প্রথমে অল্প পরিমান অর্থ নিয়ে এই ব্যাবসায় করতে পারেন। পরবর্তীতে কিছু টাকা মুনাফা হলে বেশি পণ্য কিনে বিক্রয় করতে পারেন। গ্রামে কৃষকের কাছ থেকে পাইকারি মূল্যে কম দামে পণ্য কিনে কিছু লাভে শহরে খুচরা ব্যাবসায়ীর কাছে বিক্রি করতে পারেন। এইক্ষেত্রে মাঝপথে যাতায়াত ভাড়া মাথায় রাখতে হবে। এই ভাবে অল্প টাকায় ঝুঁকি ছাড়া পাইকারি ব্যাবসায় করতে পারেন।
২) চকলেট,কেক,বাচ্চাদের খেলনা,পটেটোর পাইকারি ব্যাবসা :অল্প পুঁজিতে যারা পাইকারি ব্যাবসা খুঁজছেন তাদের জন্য দারুন ব্যাবসায়ের আইডিয়া চকলেট,কেক,বাচ্চাদের খেলনা,পটেটো ইত্যাদি বেকারি আইটেম ক্রয় করে খুচরা ব্যাবসায়ীর নিকট বিক্রয় করা। আমাদের দেশে এই পণ্য ভালো বিক্রয় হয় তাই এই ব্যাবসা করতে পারেন। এই ব্যবসা করতে হলে প্রথমে আপনাকে পণ্য সংগ্রহ করতে হবে। পণ্য সংগ্রহের জন্য উৎপাদকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। উৎপাদকের কাছ থেকে চকলেট,কেক,বাচ্চাদের খেলনা,পটেটো ইত্যাদি বেকারি আইটেম ক্রয় করে বেকারি এর মতো কিছু দোকান আছে যেখানে এই সব পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। আমাদের দেশে এই সব পণ্যের চাহিদা
অনেক বেশি। তাই এই সব ক্রয় করলে বিক্রয় করা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। ভালো মানের পণ্য হলে খুচরা ক্রেতা নিজেই আপনার সাথে যোগাযোগ করে পণ্য ক্রয় করবে। অনেকে চিন্তা করে থাকেন কোথায় থেকে এই সব পণ্য ক্রয় করবো। অনেকে ইন্ডিয়া থেকে পণ্য আমাদের দেশে আমদানি করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাদের কাছে ভালো মানের ইন্ডিয়া পণ্য পাবেন যা আমাদের দেশে ভালো দামে বিক্রয় হয়। এক বার আপনার পাইকারি ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেলে আপনাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। অল্প পরিশ্রম করে ভালো অর্থ আয় করতে পারবেন। প্রথম পর্যায়ে আপনাদের এই ব্যাবসায়ের জন্য পরিশ্রম করতে হবে। পরে ব্যবসা এড়িয়ে গেলে কম পরিশ্রম করলেও হবে।
৩) ডিমের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া : আমাদের দেশে ডিমের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতিদিন সারা বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে ডিম বিক্রি হয়। এই ডিমের পাইকারি ব্যাবসায় ও করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেকে এই ডিমের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। অল্প টাকা নিয়ে এই পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক পোল্ট্রি ব্যাবসায়ী আছে যারা ডিম উৎপাদন করে থাকেন। তাদের কাছ থেকে ডিম ক্রয় করে খুচরা ব্যাবসায়ী বা
দোকানে দোকানে বিক্রয় করতে পারেন। প্রতি ডিমে অল্প পরিমান লাভ থাকে তাই যত বেশি ডিম বিক্রয় করবেন ততো বেশি লাভ হবে।চাইলে নিজেও ডিম উৎপাদন করতে পারেন। উৎপাদিত এই সব ডিম বাজারে বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করতে পারেন।অনেক বেকার যুবক আছেন যারা ডিমের ব্যবসা করে নিজে সাবলম্বী হয়েছে। যেহেতু ঝুঁকি কম তাই এই ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।
৪) চা পাতার পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া :চা আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। চা পান করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের দেশে প্রতি ঘরে চা প্রয়োজন হয়। আবার হাটে বাজারে যাবেন দেখবেন অনেক চায়ের দোকান আছে যেখানে চা বানিয়ে বিক্রয় করা হয়। এই চা এর ক্রেতা চাহিদা ও অনেক বেশি।
আপনারা চাইলে চা পাতার পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যাবসার জন্য অল্প পুঁজির দরকার হয়। অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে চা পাতা ব্যবসা করে অধিক লাভ করতে পারেন।
আমাদের দেশে সিলেট এ চা পাতা চাষ হয়। এই চা পাতা থেকে মেশিনে সমন্বয় করে চা তৈরী হয়।এই চা প্যাকেট করে সারা বাংলাদেশে বিক্রয় হয়। আপনারা এই চা পাইকারি ব্যবসা করতে চাইলে উৎপাদকের কাছ থেকে ক্রয় করতে পারেন। আমাদের দেশে হোটেলে ও দোকানে প্রচুর চা দরকার হয়। এই সব হোটেলে ও দোকানে চা বিক্রয় করতে পারেন। এই ব্যাবসায়ের জন্য বেশি পুঁজির দরকার হয় না। অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে এই ব্যাবসায় করতে পারেন। ক্রেতার সাথে ভালো সম্পর্ক হলে পরে আর বিক্রয় করা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না
চা পাতা ক্রয় ও বিক্রয়ের সময় আপনাকে খেয়াল করতে হবে যে চা পাতার গুণগত মান ঠিক থাকে এবং ওজনে ঠিক থাকে। ভালো মানের চা পাতা সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রেতার কাছে দিতে পারলে পরে বিক্রয় নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। করতে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
৫) কাপড়ের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া : আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বে কাপড়ের ভালো চাহিদা আছে। আপনারা চাইলে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন। আমাদের দেশে অধিকাংশ লোক এই কাপড়ের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে।কাপড়ের ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশে অধিক জনপ্রিয়।আমাদের দেশে অনেক ছোট বড়ো গার্মেন্টস আছে যেখানে শার্ট প্যান্ট সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পোশাক তৈরী করা হয়। এই খান থেকে কম দামে পোশাক কিনে সারা বাংলাদেশে খুচরা ব্যাবসায়ীর নিকট বিক্রয় করতে পারেন।
বাংলাদেশে অনেক গ্রাম আছে এই সব গ্রামেও পোশাক খুচরা মূল্যে বিক্রয় করতে পারেন। এই ব্যাবসার জন্য অধিক পরিমানে অর্থ বিনিয়োগ করা দরকার হয় না অল্প অর্থ বিনিয়োগ করে অধিক পরিমানে মুনাফা অর্জন করতে পারেন। ঢাকার গুলিস্তান এ পাইকারি মূল্যে কাপড় বিক্রয় হয় এছাড়া ধার নারায়ণগঞ্জ ,সাভারে অনেক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে যেখান থেকে পাইকারি দামে কাপড় ক্রয় করতে পারেন। পণ্য ক্রয়ের পর আপনাকে খুচরা ব্যাবসায়ী খুঁজতে হবে যেখানে আপনি আপনার ক্রয়কৃত পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। যেহেতু কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি সেহেতু এই ব্যাবসায়ে ঝুঁকি কম। আপনারা নিশ্চিন্তে এই ব্যাবসায় করতে পারেন।
৬) মোবাইল এক্সেসরিজ পাইকারি ব্যবসা : অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা যারা করতে চাচ্ছেন তারা মোবাইল এক্সেসরিজ পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। একেবারে অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে এই ব্যাবসা করা যায়। মোবাইল এক্সেসরিজ এর পণ্য আমাদের দেশে অধিক চাহিদা আছে। শহর ও গ্রাম জুড়ে অনেক মোবাইল দোকান আছে যেখানে মোবাইল এক্সেসরিজ এর পণ্য ক্রয় ও বিক্রয় করে থাকেন। এই মোবাইল এক্সেসরিজ এর দোকানে মোবাইল এক্সেসরিজ এর পণ্য বিক্রয় করতে পারেন।
মোবাইল এক্সেসরিজ এর পণ্য ক্রয় করতে হলে আপনাকে উৎপাদক বা ডিলার এর কাছ থেকে ক্রয় করতে হবে। অনেক আমদানিকারক আছে যারা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল এক্সেসরিজ কিনে খুচরা ব্যাবসায়ীর কাছে বিক্রি করতে পারেন। এইসব পণ্য বিক্রয় করে আপনারা ভালো লাভ করতে পারেন।
৭) বেকারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া : অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া খুঁজছেন বেকারির ব্যবসা তাদের জন্য সব চাইতে ভালো ব্যবসা। আপনারা চাইলে বেকারি পণ্যের পাইকারি ব্যাবসা করতে পারেন। বেকারি পণ্যের মধ্যে যেমন : রুটি ,বিস্কুট ,কেক ,ড্রাই কেক ,নাড়ু ,বনরুটি ,চানাচুর ইত্যাদি। প্রতিটি ঘরেই প্রায় এই সব খাবার দরকার হয়। তাই দোকান ও হোটেলে এই সব পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি।চাহিদা অনেক বেশি থাকার কারণে আমাদের দেশে অনেক বেকারির কারখানা গড়ে উঠেছে।
এই সব কারখানায় প্রচুর পরিমানে বেকারি পণ্য তৈরী হয়। আপনারা চাইলে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে এই বেকারির ব্যবসা করতে পারেন। বেকারির পণ্যের চাহিদা থাকার কারণে সরাসরি বেকারি থেকে পণ্য ক্রয় করে দোকানে বা হোটেলে বিক্রয় করতে পারেন। এক বার আপনার আসে পাশে দোকানের সাথে ভালো সম্পর্ক হলে পরে আর বিক্রয় করতে সমস্যা হবে না। তারাই আপনার কাছে পণ্য চাইবে। আস্তে আস্তে ব্যাবসার পরিধি বাড়াতে পারেন। কারণ এই পণ্য সব খানে চলে।
৮) খাঁটি মধু ,পেস্তা বাদাম ,তেল, খেজুর ব্যবসার আইডিয়া : ভেজালের ভিড়ে খাঁটি পণ্য পাওয়া যায় না। তাই আপনারা যদি খাঁটি পণ্য বিক্রয় করে এক বার ক্রেতার আকর্ষণ করতে পারেন তবে আর বিক্রয়ের জন্য ক্রেতা খুঁজতে হবে না। ক্রেতা নিজেই আপনাকে খুঁজে নিবে। অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা এর মধ্যে আর একটি ব্যবসা হলো খাঁটি মধু ,পেস্তা বাদাম ,তেল, খেজুর ইত্যাদির ব্যবসা করতে পারেন। কারণ এই সব পণ্য বেশিরবাগ বিক্রেতা ভেজাল পণ্য বিক্রয় করে। এই সব পণ্য যদি আপনি খাঁটি পণ্য খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে এই সব পণ্য বিক্রয় করতে পারেন।
এই জন্য আপনাকে প্রথমে বনে যেমন সুন্দরবন এ অনেক বিক্রেতা আছে অথবা মৌয়াল এর সাথে যোগাযোগ করে খাঁটি পণ্য ক্রয় করতে পারেন। অনেকে আছে খাঁটি সরিষার তেল সংগ্রহ করে বিক্রয় করে। খেজুর এর ব্যবসা করতে হলে অনেকে সৌদি আরব থেকে খেজুর আনে তাদের সাথে যোগাযোগ করে সৌদিয়ান খেজুর ,চকলেট ইত্যাদি পণ্য ক্রয় করে পাইকারি দামে বিক্রয় করতে পারেন। এই সব পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। তাই এই সব পণ্য বিক্রয় করে অধিক লাভ করতে পারেন।
৯) বীজ,সার ও কীটনাশকের পাইকারি ব্যবসা : বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আপনারা চাইলে কৃষি পণ্য ক্রয় করে কৃষকদের কাছে বিক্রয় করতে পারেন। কৃষি পণ্যের মধ্যে বীজ ,সার ,কীটনাশক ,চারা ,ট্রাক্টর পাওয়ারটিলার ইত্যাদি যন্ত্রপাতি ক্রয় করে কৃষকদের কাছে বিক্রয় করতে পারেন। এইসব বিক্রয় করে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন। এই সব পণ্য বিক্রয়ের জন্য গ্রামে কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন।
১০) ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া : আপনার চাইলে ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। আমাদের দেশে এইসব পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। এই ব্যবসা করতে হলে প্রথমে আপনাকে ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য সংগ্রহ করতে হবে। এই সব পণ্য পাইকারি দামে আপনারা ঢাকা থেকে কিনতে পারেন এছাড়া অনেক আমদানিকারক আছে যারা বিদেশ থেকে পণ্য ক্রয় করে দেশে আমদানি করে তাদের কাছ থেকে পাইকারি মূল্যে ক্রয় করতে পারেন। ক্রয়কৃত এইসব পণ্য নিজ গ্রামে বা শহরে বিক্রয় করতে পারেন। এই পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি তাই বিক্রয় নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। একটু চেষ্টা করলে সহজে এই ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসা লাভ জনক ব্যবসা।
১১) ফুটওয়্যার পাইকারি ব্যবসা: যারা অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা খুঁজছেন তাদের জন্য দারুন পাইকারী ব্যবসা হলো ফুটওয়্যার সামগ্রী পাইকারি ব্যবসা অন্যান্য ব্যবসার পাশা পাশি ফুটওয়্যার সামগ্রীর চাহিদা অনেক বেশি। ফুটওয়্যার সামগ্রী হলো জুতা, স্যান্ডেল ,অন্যান্য ফুটওয়্যার আইটেম। অনেক উৎপাদন কারখানা আছে যেখানে ফুটওয়্যার সামগ্রী উৎপাদন করা হয়। এই সব কারখানা থেকে ফুটওয়্যার সামগ্রী ক্রয় করে বাজারে জুতার দোকানে বিক্রয় করতে পারেন। অথবা নিজেই কারখানা দিয়ে সেখানে জুতা ,স্যান্ডেল তৈরী করে দোকানে দোকানে বিক্রয় করতে পারেন।এই ব্যাবসায় ও লাভজনক ব্যবসা। এই খান থেকে ও ভালো পরিমানে অর্থ আয় করতে পারেন।
১২) কসমেটিকস পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া : আমাদের দেশে কসমেটিকস এর ভালো চাহিদা আছে। আপনারা যারা অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা খুঁজছেন তাদের জন্য কসমেটিকস পাইকারি ব্যবসা ভালো ব্যাবসার আইডিয়া। যেহেতু আমাদের দেশে কসমেটিকস এর চাহিদা বেশি তাই আপনারা নিশ্চিন্তে এই ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসার জন্য অল্প পুঁজি দরকার হয়। ঢাকা চক বাজার পাইকারি দামে কসমেটিকস পণ্য বিক্রয় করে। আপনারা চাইলে চক বাজার থেকে এইসব পণ্য ক্রয় করে সারা বাংলাদেশে বিক্রয় করতে পারেন।
অনেক আমদানিকারক আছে যারা বিদেশ থেকে কসমেটিকস পণ্য আমদানি করে। এইসব পণ্য ক্রয় করে নিজ এলাকা ও শহরে দোকানে বিক্রয় করতে পারেন। এছাড়া আপনারা চাইলে অনলাইন ফেইসবুক পেজ এর মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক বেকার যুবক যুবতী এই ব্যাবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে।এই ব্যবসা করতে হলে আপনাকে পণ্য সংগ্রহ করতে হবে। এবং পণ্য বিক্রয়ের জন্য খুচরা ব্যাবসায়ীর কাছে বিক্রয় করতে পারেন।
১৩) ফলের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া : ছোট শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ ফল সবার পছন্দের খাবার। ফলের ও ভালো চাহিদা থায়া আপনারা চাইলে ফলের ব্যবসা করতে পারেন। অনেক খুচরা ব্যাবসায়ীর ফল দরকার হয়। আপনারা এই ফলের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। শহর ও গ্রাম জুড়ে ফল বিক্রয় হয়। শহরে ও গ্রামে আপনারা ফল খুচরা ব্যাবসায়ীর নিকট বিক্রয় করতে পারেন। ফলের ব্যবসা করতে হলে খুব বেশি অর্থের প্রয়জন হয় না। অল্প পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসা করতে পারেন।
১৪) মুদি দোকানে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া : এমন কোনো গ্রাম বা শহর নাই যেখানে মুদি পণ্য চোলে না। সব জেলা ,সব গ্রামে মুদি পণ্য ,এমনকি শহরে মুদি পণ্য ভালো চলে। আমাদের দেশে মুদি পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। আপনারা চাইলে স্বল্প পুঁজিতে এই ব্যবসা করতে পারেন। মুদি পণ্যের ব্যবসা করতে হলে আপনাকে উৎপাদকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। উৎপাদকের কাছ থেকে পণ্য কিনে মুদি দোকানে এই সব পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। এই ব্যবসা করেও আপনারা অল্প পুঁজি খরচ করে অধিক লাভ করতে পারেন। এই ব্যাবসায় করে অনেক বেকার যুবক যুবতী জীবিকা নির্বাহ করছে।
১৫ ) গৃহস্থালী পণ্যের পাইকারি ব্যবসা : আপনারা চাইলে গৃহস্থালী পণ্যের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। এই পণ্যের চাহিদা ও আছে অনেক।
আমরা ইতিমধ্যে ১৫ টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া বর্ণনা করলাম। অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা এর মধ্যে এই সব ব্যবসা অধিক জনপ্রিয়। সাবলম্বী হতে হলে প্রথম পর্যায়ে আপনাদের একটু কষ্ট করতে হবে। ব্যবসা শুরু করে প্রথম পর্যায়ে আপনারা কষ্ট করে ব্যবসা দাঁড় করলে পরে আর কষ্ট করতে হবে না অল্প কষ্টে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন। যেসব ব্যবসার আইডিয়া দিলাম এই সব ব্যবসা করে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অধিক পরিমানে লাভ করতে পারেন। আপনাদের ব্যবসা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন আমরা চেষ্টা করবো আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে।
1 thought on “অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা 15 টি পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া”